ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ময়মনসিংহে লাগেজে খণ্ডিত মরদেহ

চাচাতো বোনকে গোপনে বিয়ে করায় সৌরভকে টুকরো করে খুন 

চাচাতো বোনকে গোপনে বিয়ে করায় সৌরভকে টুকরো করে খুন 

চার টুকরো করে খুন করা ওমর ফারুক সৌরভের সাথে প্রেমের সর্ম্পক ছিল তার আপন চাচাতো বোন ইসরাত জাহান ইভার। এ কারণে গত ১২ মে ইভা ঢাকা গিয়ে গোপনে বিয়ে করেছিল সৌরভকে। কিন্তু তাদের এই সর্ম্পক মেনে নেয়নি চাচা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ইলিয়াস আলী আকন্দ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে চাচা ইলিয়াস পূর্বপরিকল্পিতভাবে সৌরভকে ডেকে এনে খুন করে বলে অভিযোগ নিহত সৌরভের বাবা মো. ইউসুফ আলীর।

সোমবার (৩ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টায় আলোকিত বাংলাদেশ কে এসব তথ্য জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত ডাক বিভাগের কর্মচারি নিহত সৌরভের বাবা মো: ইউসুফ আলী।

তিনি আরও বলেন, সৌরভ ও ইভার প্রেমের বিয়ের ঘটনার কয়েকদিন পর ইলিয়াস আমাকে ফোন করে হুমকি দিয়ে বলেছিল, তর ছেলেকে টুকরো টুকরো করে খুন করব। এটা না করে আমি পানিও খাব না। তখন আমি তার কথা বিশ্বাস করিনি। মনে করেছিলাম এটা তার রাগ-ক্ষোভের কথা। কিন্তু এখন তার কথাই সত্য হয়েছে। আমার ছেলেকে কেটে টুকরো টুকরো করে খুন করা হয়েছে। এই পৃথিবীতে এখন আমার বেঁচে থেকে লাভ কি। আমি আমার ছেলে খুনের বিচার চাই।

হুমকির সত্যতা নিশ্চিত করে নিহত সৌরভের প্রতিবেশি দাদা ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইগবাজ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: বোরহান উদ্দিন বলেন, ইলিয়াস নিহত সৌরভকে টুকরো টুকরো করে খুন করার হুমকি দিয়েছিল। এই হুমকির অডিও কলরেকর্ড আমি শুনেছি এবং তা সংরক্ষিত আছে।

নিহত সৌরভের মায়ের অভিযোগ, ইলিয়াস তার মেয়ে ইভাকে কানাডা পাঠিয়ে দেওয়ার পর আমার ছেলেকে ডেকে এনে খুন করেছে।’ এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির চান তিনি।

এদিকে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত সৌরভের গ্রামের বাড়ী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইগবাজ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামে শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নির্মম এই ঘটনায় নিহতের পরিবার ও স্বজন ছাড়াও প্রতিবেশিদের মধ্যে আহাজারি সৃষ্টি হয়েছে।

অপরদিকে লোমহর্ষক এই হত্যাকান্ডের ঘটনার খলনায়ককে ইলিয়াস আলী আকন্দকে খুঁজছে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পর থেকে সে পলাতক থাকায় এবং তার মোবাইল বন্ধ থাকায় এখনো তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে খুব দ্রুত সময়েই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ কোতেয়ালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন ও ডিবি ওসি মোঃ ফারুক হোসেন নিহতের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলমান আছে। বিস্তারিত খুব দ্রুত জানানো হবে।

এর আগে রোববার ২ জুন সকালে ময়মনসিংহ সদর ও মুক্তাগাছা উপজেলার সীমান্তবর্তী মনতলা ব্রীজের নিচে সুতিয়া নদী থেকে এক অজ্ঞাত তরুনের চার খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় সুতিয়া নদী থেকে কালো রংয়ের একটি ট্রলি লাগেজ থেকে মরদেহের তিন খন্ড এবং পাশেই একটি বাজারের ব্যাগে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহের খন্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয়। এরপর প্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন।

সৌরভ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত